টাইম নিউজ ডেস্কঃ রসু খাঁ যার নাম শুনলে গাঁ শিউরে উঠে,যিমি বাংলাদেশের প্রথম ধারাবাহিক খুনি।নারীদের হত্যা করার পূর্বে ধর্ষণ করত। সে ১১ জন নারীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল। রসু খাঁয়ের হত্যার শিকার নারীরা ছিলেন ১৭ থেকে ৩৫ বছর বয়সের পোশাক কর্মী।
রসু মিয়ার আসল নাম রশিদ খাঁ। তার বাবা আবুল হোসেন ওরফে মনু খাঁ ছিলেন একজন ক্ষেতমজুর। রসু খাঁর বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে।
গ্রেফতার হবার পর রসু খাঁ পুলিশি জেরায় জানায় যে, বিয়ের আগে সে এক মেয়েকে ভালবাসত। এই ঘটনার জের ধরে ঐ মেয়ের ভাইয়েরা তার হাত ভেঙ্গে দেয়। এরপর সে তার এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।সে তার অপমানের প্রতিশোধ নিতে ১০১ টি খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ১০১ টি খুন করার পর সন্ন্যাসী হয়ে মাজারে মাজারে ঘুরে ধার্মিক জীবনযাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
রসু খাঁ নারীদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলত। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর ধর্ষণ করে হত্যা করত তাদের। তার সিরিয়াল কিলিংয়ের সূত্রপাত ঘটে ২০০৭ সালে তার শ্যালক মান্নানের স্ত্রী রিনাকে হত্যার মাধ্যমে।মিথ্যা কথা বলে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ভাটিয়ালপুরে এনে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে তাকে ফেলে দেন রসু খাঁ। এরপর একে একে আরো দশটি খুন করে সে। তিনি সর্বশেষ ২০০৯ সালের ২০ জুলাই তার ভাগ্নে জহিরুল ও তাদের সহযোগী ইউনুছকে সাথে নিয়ে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার হাসা গ্রামের একটি খালপাড়ে ধর্ষণ শেষে খুন করে পারভীন নামের এক নারীকে।
রসু খাঁ ঢাকা ও গাজীপুর এলাকায় সে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। খুন ছাড়া ছিনতাই, ডাকাতি, বাড়ি লুট, বোমাবাজিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত থাকলেও চুরিই ছিল তার প্রধান পেশা।
রসু খাঁ দুই নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। প্রথম বিয়ের আগে তাকে কনে দেখতে দেয় নি বিয়ের ঘটক। (৩) তার প্রথম স্ত্রী মণির এক চোখ অন্ধ ছিল। প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে তার বোন রীনাকে বিয়ে করেছিল রসু। (৫) রীনার সাথে বিয়ে করার পর সে গাজীপুরের টঙ্গীতে বসবাস শুরু করেছিলেন এই সিরিয়াল কিলার ।
Leave a Reply